বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু, খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তির দাবিতে কত ১ সপ্তাহ ধরে অনশন করছেন জামা মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই কর্মী। বর্তমানে তারা কারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মোঃ নাসির উদ্দিন প্রধান ওই দুই কয়েদির অনশনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলা সুপার বলেন কয়দিন নূর মোহাম্মদ অনিক ও মুজাহিদুল ইসলাম আদালতের মাধ্যমে ২০২০ সালে (২২অক্টোবর )খুলনা জেলা কারাগারে আসেন, তারা দুজনই একটি মামলায় ২০ বছর সাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত এবং তাদের উভয়কেই এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায় আরো ছয় মাসের সাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অপর একটি মামলায় দুটি ধারায় যথাক্রমে ১০,বছর ও ৭ বছর সাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫,হাজার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা রয়েছে, জরিমানা অনাদায় একমাস ও এক বছরের বিনাশ্রম কানা কারাদণ্ড দণ্ডিত এরা। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা চলমান গত ২২ শে সেপ্টেম্বর থেকে। তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন ২০২০ সালের ৮ই জানুয়ারি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে দীর্ঘ ১৭ দিন বগুড়া ডিবি হেফাজতে নিয়ে গুম করে নির্যাতন করে।
পরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দেওয়া হয়েছে, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিগত শেখ হাসিনা সরকারের দেশের শর্তবিরোধী কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে জনমত গড়ে তোলার কারণে এই প্রশাসনের মামলার শিকার হয়েছেন, বিগত ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও তারা কারাগারে এখনো আটকে থাকার বৈষম্যর শিকার হয়েছেন এবং করছেন, তাদের বর্তমান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ পূর্বক কারাগার থেকে দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত কারাগারে গত বাইশে সেপ্টেম্বর প্রথমবার অনশনের হুমকি দিয়ে সরকারি খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন ওই সময়ে তাদের আগ্রহ অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়েকের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করিয়ে স্বাভাবিক করানোর হয়, কারাগার থেকে এখনো মুক্তি না পাওয়ার তারা একই দাবি তুলে গত (১০ই নভেম্বর) থেকে থেকে পুনরায় সরকারি খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছেন।
কারা বিধি অনুযায়ী তাদেরকে নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে কারা হাসপাতালের সহকারী চারজনের মাধ্যমে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ রাখা হচ্ছে। এছাড়া নিয়মিত কাউন্সিলিং করা হচ্ছে এবং ১২ ও ১৩,ই নভেম্বর তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় তাদেরকে আইনজীবী ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সরকারি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলানো হয়েছে। কিন্তু তনয়দ্ধ নূর মোহাম্মদ অনিক এখনো অনশনরত আছেন।